Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে 

   মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মায়েরা-মেয়েরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তারা সন্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন, তারা নির্যাতিতা হয়েছেন। কিন্তু তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় নি। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদিচ্ছা ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ও নির্যাতিত মহিলাদের পূণর্বাসনের জন্য ‘নারী পূণর্বাসন বোর্ড’ স্থাপিত হয়। বোর্ডের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৭৪ সালে সংসদের একটি এ্যাকট এর মাধ্যমে এই বোর্ডকে বৃহত্তর কলেবরে পূণর্গঠন করে ‘নারী পূণর্বাসন কল্যান ফাউন্ডেশন” এ উন্নীত করা হয়।

   জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-  নারী উন্নয়নে সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলনের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্থরের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী করার জন্য সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন। এর আলোকে ১৯৭৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মহিলা সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে সংস্থার কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসু ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৪ঠা মে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৯নং আইন বলে জাতীয় মহিলা সংস্থাকে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রুপদান করা হয় এবং নিন্মোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করা হয়-

(ক) জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে মহিলাগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা;

(খ) মহিলাগণের জন্য কারিগরী ও বৃত্তি মূলক প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা;

(গ) অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে মহিলাগণকে সহায়তা দান করা;

(ঘ) মহিলাগণের আইনহত অধিকার রক্ষার্থে সাহায্য করা;

(ঙ) পরিবার কল্যাণমূলক ব্যাবস্থাদি গ্রহনে মহিলাগণকে উদ্বুদ্ধ করা;

(চ) মহিলা কল্যাণে নিয়োজিত সরকারি ও বেসরকারি, দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ স্থাপন করা ও সহযোগিতা করা;

(ছ) জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে মহিলাগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য চেষ্টা করা;

(জ) সমবায় সমিতি গঠন ও কুটির শিল্প স্থাপনে মহিলাগণকে উৎসাহিত করা;

(ঝ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মহিলাগণের অংশ গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করা;

(ঞ) মহিলাগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালার ব্যাবস্থা করা;

(ট) উপরিউক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা।